বরেন্দ্র নিউজ ডেস্ক :
কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (সিএমএসএমই) জন্য সরকার ২০ হাজার কোটি টাকার যে প্রণোদনা তহবিল গঠন করেছে, তা থেকে গণমাধ্যমকেও ঋণ দেওয়ার প্রস্তাব করেছে এফবিসিসিআই।
একইসঙ্গে কোভিড-১৯ সঙ্কটকালে সব ধরনের ঋণের সুদ আদায় দুই মাস বন্ধ রাখার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে ব্যবসায়ী শিল্পপতিদের শীর্ষ এই সংগঠনটি।
সোমবার এক বিবৃতিতে এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, এফবিসিসিআই’র প্রস্তাবনার আলোকেই বাংলাদেশ ব্যাংক সব ধরনের ঋণের সুদ আদায় দুই মাস (এপ্রিল ও মে) বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
“এই নির্দেশনার ফলে ব্যবসায়ীমহল বিশেষভাবে উপকৃত হবে। আমরা এ ঘোষণাকে স্বাগত জানাই।”
সংকটের এই সময়ে গণমাধ্যমকে সহায়তার জন্য সরকারের কাছে কী ধরনের সুপারিশ করেছেন- জানতে চাইলে এফবিসিসিআই সভাপতি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সিএমএসএমই খাতের সহায়তার জন্য সরকার যে ২০ হাজার কোটি টাকার তহবিল করেছে সেই তহবিল থেকে গণমাধ্যমের মালিকরাও যাতে ঋণ নিয়ে সাংবাদিক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দিতে পারেন, সে প্রস্তাবই করেছি।
“যাদের প্রয়োজন, তারা এই তহবিল থেকে সাড়ে ৪ শতাংশ সুদে ঋণ নিয়ে বেতন-ভাতা খাতে খরচ করবে। তহবিলের নীতিমালা অনুযায়ী পরিশোধ করবে। আশা করছি, সরকার এ ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া দেবেন।”
বিবৃতিতে ফজলে ফাহিম বলেন, কোভিড-১৯ প্রাদূর্ভাবের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত সিএমএসএমই প্রতিষ্ঠানগুলোকে পূনরুজ্জীবিত করতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিশেষ ঋণ সুবিধা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ঋণ আবেদন গ্রহণ থেকে বিতরণ পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে সহজ পদ্ধতি অবলম্বন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঋণ বিতরণ করতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ব্যাংকগুলোকে আরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যে, সকল প্রকার ঋণের ওপর ০১ এপ্রিল ২০২০ থেকে ৩১ মে ২০২০ পর্যন্ত সময়ে আরোপিত/আরোপযোগ্য সুদ/মুনাফা ‘সুদবিহীন ব্লকড হিসেবে’ স্থানান্তর করতে হবে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ব্লকড হিসেবে স্থানান্তরিত সুদ/মুনাফা সংশ্লিষ্ট ঋণ/বিনিয়োগ গ্রহীতার নিকট হতে আদায় করা যাবে না এবং এরূপ সুদ/মুনাফা ব্যাংকের আয়খাতে স্থানান্তর করা যাবে না।
“এই নির্দেশনার ফলে ব্যবসায়ীমহল বিশেষভাবে উপকৃত হবে বলে মনে করে এফবিসিসিআই।”
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত সিএমএসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের জন্য ঋণ সুবিধা প্রদানের প্রক্রিয়া সহজ করতে গত ২৬ এপ্রিল এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে যে সব প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছিল তার পরিপ্রেক্ষিতেই বাংলাদেশ ব্যাংক এই বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিটি শাখায় একটি স্বতন্ত্র হেল্প ডেস্ক প্রতিষ্ঠা করা হবে। যেখান থেকে উদ্যোক্তারা খুব সহজে আর্থিক সহায়তা প্যাকেজ সংক্রান্ত তথ্য জানতে পারবেন। আর ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণ বিতরণ কার্যক্রম যথাযথভাবে তদারকি করার লক্ষ্যে নিজ নিজ প্রধান কার্যালয়ে একটি মনিটরিং টিম গঠন করবে। যারা উদ্যোক্তাদের নাম, ফোন নাম্বার এবং ই-মেইল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের অবহিত করবেন।
bdnews 24.com
Leave a Reply